Tuesday, April 28, 2020

নাগিব হকের ‘অঙ্কটা ভুল’


অ্যালবামের সবগুলো গানের কথা লিখেছেন সুস্মিতা বিশ্বাস সাথী।  সাথীই এ অ্যালবাম প্রকাশের মূল পরিকল্পনাকারী।
সাথী গ্লিটজকে জানান, ২০১২ সালে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় নাগিব হকের সঙ্গে। গান নিয়ে নিজেদের নানা ভাবনা শেয়ারের পর সাথী জানতে পারেন, নাগিব কখনও বাংলা গান নিয়ে কাজ করেনি। বাংলাদেশি হিসেবে নাগিবের কোনো বাংলা গান নেই, এটা জেনে ভীষণ ‘অবাক’ হন সাথী।
নাগিব তখন বাংলা গান নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। একদিন পরিকল্পনা করলেন, বাংলা গানের অ্যালবামই করে ফেলবেন। তিনি ঠিক করলেন, ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে রক, পপের নানা ঘরানার ফিউশনে সাজানো হবে পুরো অ্যালবামটি। যন্ত্রানুসঙ্গেও থাকছে ‘অভিনবত্ব’।
নাগিব জানান, অ্যালবামে বেঠোফেন, তাইকভস্কির পাশ্চাত্যের সংগীতস্রষ্ঠাদের প্রভাব যেমন থাকবে তেমনি ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের প্রতিফলনও থাকবে। আরও থাকবে চাইনিজ ‘এর-হু’ ঘরানার ছোঁয়া।
পুরো অ্যালবামে থাকছে ১৫টি গান। ইতোমধ্যে ‘মিথ্যে’, ‘কী আর চাই-হোয়াট ইউ নিড টুনাইট’, ‘ছেঁড়া’ শিরোনামে তিনটি গান অনলাইনে মুক্তি দিয়েছেন তারা।  ‘কী আর চাই’ গানের সঙ্গে এর মিউজিক ভিডিও রিলিজ করেছেন অনলাইনে।
সাথী জানান,  জুনে মুক্তি পাবে ক্ল্যাসিক্যাল ধাঁচের ‘শেষ কথা’ গানটি। অ্যালবামের বিশেষত্ব সম্পর্কে নাগিব বলেন, “পাশ্চাত্যের যন্ত্রানুসঙ্গের সঙ্গে বাংলা গানের এমন মেলবন্ধন খুব কমই হয়েছে। অ্যালবামের গানগুলো লেখার সময় সমসাময়িক নানা প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দিয়েছে সাথী।  নানা ধারার শ্রোতার কথা মাথায় রেখে মেলোডিনির্ভর গানগুলোতে ফিউশনে নতুনত্ব আনা হচ্ছে।”
সাথী জানান, এ অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমেই আত্মপ্রকাশ করবে নাগিব ও সাথীর যৌথ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘জাদুঘর’। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের শ্রোতাদের উপযোগী করে বাংলা গানগুলোকে তারা তাদের ঘরে পৌঁছে দিতে চান তারা।
নাগিব হক ২০০৬ সাল থেকে গানকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। বন্ধু মাইক লির সঙ্গে মিলে নিজেদের স্টুডিওতে শুরু করেন সংগীতায়োজন। প্রথমে হিপহপ ঘরানার গান নিয়ে কাজ করলেও নিজস্ব ঘরানার প্রতি মনযোগী হয়ে উঠেন নাগিব।  বন্ধু থেকে আলাদা হয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান রেড মেইজ গড়েন। রেড মেইজের ব্যানারে তিনি কাজ করেছেন মার্কিন সংগীতশিল্পী আমাদি জে, বিজনেজ, লেনে রাইট, ফিয়া মনিকো, তায়রা বি ক্যাসিয়াসের সঙ্গে। নিজেও পারফর্ম করেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।  
২০১১ সালে গ্র্যামিজ ন্যাশনাল একাডেমি অব রেকর্ডিংস আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের সদস্যপদ লাভ করেন।
খুলনার মেয়ে সাথী ২০০৬ সালে হাবিব ওয়াহিদের প্রথম অ্যালবামের জন্য ‘স্বপ্নের চেয়ে মধুর’ শিরোনামে একটি গান লেখেন। তখন সাথী দশম শ্রেণিতে পড়তেন। এক গানেই আলোচনায় উঠে আসেন সাথী।
হাবিবের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘বলছি তোমাকে’র জন্যও গান লিখেছেন সাথী। সিনেমার জন্য লিখছেন তিনি। শেষ গান লিখেছেন রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ সিনেমার জন্য। 


No comments:

Post a Comment

Featured Post

স্বপ্নকন্যার গল্প (সুস্মিতা বিশ্বাস সাথী)

সুস্মিতার বয়স তখন কতই বা হবে । বড়জোর পাঁচ কিংবা ছয়। আশপাশের আট দশটা স্বাভাবিক শিশুর মতোই সে সময়টা স্কুলের গণ্ডিতে পা রাখা শুরু সুস্মিতার...